গণঅভ্যুত্থান:শেখ হাসিনার পলায়ন ও রাজা লক্ষ্মণ সেন


পরাজিত রাজা লক্ষ্মণ সেনের সাথে শেখ হাসিনার বিশেষ মিল রয়েছে। পেছনের দরজা দিয়ে দেশ ত্যাগ। বখতিয়ার খলজি যখন বাংলা আক্রমণ করেন সেন রাজা লক্ষ্মণ সেন রাজপ্রাসাদের পেছনের দরজা দিয়ে নৌ-যোগে পালিয়ে যান। সতের কি আঠারো জন সৈন্যের কাছে পরাজিত হন। যুদ্ধ করতে হয়নি বিনা বাধায় বখতিয়ার খলজি বাংলা জয় করেন। এই গল্প টেনে আনার মূল কারণ পরাজিত ও অত্যাচারী শাসক কপালে যখন পতন ডেকে আনে তখন তাঁকে পালাতে হয়। আধুনিক সভ্যতায় এমন নজীর অনেক। চলমান ইতিহাসে শেখ হাসিনা নতুন অধ্যায় রচনা করলেন। নতুন এমন আরও ইতিহাস ঘটবে এমন আভাস দেখা যাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে। 

জুন মাসের ৫ তারিখ। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দেয়। মানুষ ধারনা করতে পারেনি পরের দুই মাসের মধ্যে এই ইস্যুতে রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটবে। ষোল বছরের শাসন অধ্যায় সমাপ্ত হবে। আন্দোলনটি শুরুতে ছাত্রদের কোটা সংস্কার কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এর সাথে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার, নানা বয়সের লাখো মানুষ অংশ নিতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত শুধু কোটা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এক দফাতে পরিণত হয়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি উঠে এলো। মানুষের মধ্যে নানা কারণে ক্ষোভ জমছিল। সেই ক্ষোভ বেরিয়ে আসার জন্য মানুষ একটা সুযোগ খুঁজছিল। আর ছাত্র আন্দোলন সুযোগ করে দেয় শেখ হাসিনা তাঁর সরকারকে ধাক্কা দেওয়ার।  

শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর যে বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়েছিল, ৫০ বছরের মাথায় আওয়ামী লীগ আবার সেই একই অবস্থায় পড়েছে। এবারের বিপর্যয় অনেক বড়। মনে করা হচ্ছে আগের অবস্থানে কোনো ক্রমেই যেতে পারবে না দলটি। স্বৈরাচার ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্ষমতায় যাওয়া পথ বন্ধ হয়ে যায়। দেশ থেকে পলায়নের পর প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের মাঝে শোক-তাপ বা প্রতিক্রিয়া নাই! দলের প্রধান শেখ হাসিনা অভ্যুত্থান দেখে পালিয়েছেন। যাওয়ার আগে বেশ কিছু সময় গণভবনে হট্টগোল করেছেন এমন সংবাদ আসে প্রথম আলোতে। তিনি তিন বাহিনী প্রধানদের শাসিয়েছেন বলে জানা যায়। ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে অভিমান করে বলেও জানা গেছে। বোন শেখ রেহানা বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বারবার পরে পুত্র জয় কথা বললে রাজী হন। 

ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে-মেয়ের নামে মামলা হয়েছে হাফ ডজনেরও বেশি। শেখ রেহানা ও তাঁর মেয়ে টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি কীভাবে এবং কেন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছালো, যাতে দলটির বিরুদ্ধে এভাবে রাজপথে নেমে আসলো? বিষয়টি আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারায় একে একে ধরা পড়ছে। হেভিওয়েট নেতারা কোর্টে ও রিমান্ডে কাঁদছেন। ভেঙ্গে পড়েছেন সাবেক আইসিটি মন্ত্রী পলক এমন শিরোনাম পত্রিকায় এসেছে। কেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে থাকা শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হলো? ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর আর দলটি ক্ষমতা থেকে বের হতে চায়নি। জালিয়াতির নির্বাচন, বিরোধীদের ও বিরুদ্ধ মত দমন, অনিয়ম আর দুর্নীতি, আমলা আর প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে দলটির টিকে থাকা এই পতনের পেছনে মূল কয়েকটি কারণ হিসেবে উঠে আসছে। এমন প্রতিবেদন ছেপেছে বিবিসি বাংলা।  

বছরের শুরুতেই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক অভিযোগ করেছিলেন যে, মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে। বিরোধী গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিরুদ্ধ মত দমন করা হয়েছে কঠোর হাতে। বিরোধী গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত বছরের প্রথমদিকে দিনকাল পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বহু বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শেখ হাসিনা বা শেখ মুজিব বিরোধী বক্তব্য পোস্ট করার জের ধরে মামলা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সমালোচনা করায় ইমামদের পড়তে হয় মামলার মুখে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো আইন করা হয়েছে। মানুষ মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারতো না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সরকার বিরোধী বক্তব্য দেয়ার জের ধরে মাসের পর মাস ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

জোর করে ক্ষমতায় থাকা দল এক সময় আমলা, প্রশাসন বা পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শেখ হাসিনা টিকে ছিল পুলিশের ওপর ভর করে। পুলিশকে ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে। জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলন দমন করেছে পুলিশকে ব্যবহার করে। বহুদিন ধরে ক্ষমতায় থাকার ফলে এক সময়ের মাঠের রাজনৈতিক দল হলেও দলটির নেতা-কর্মীরা জনগণের কাছ থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল দলটি। বিশেষ করে দলটি পুরোপুরি প্রশাসন ও আমলানির্ভর হয়ে উঠেছিল। রাজনৈতিক পদ বা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন অনেক ব্যক্তিকে সুযোগ দেয়া হয়েছে যাদের অতীতে রাজনীতির সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না। বাহিনী নির্ভর ক্ষমতায় টিকে ছিল শেখ হাসিনা, সেইসব বাহিনীর মধ্যেও অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। ক্ষমতাচ্যুত হবার পর সে খবর প্রকাশ হচ্ছে। এখনও একে একে তথ্য দিচ্ছে আটক নেতারা। শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিরা ইচ্ছেমতো বাহিনী পরিচালনা করেছেন, আইন বা নিয়মের ধার ধারেননি। জবাবদিহিতার কোনো দায় তাদের তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক আনুগত্য  বিবেচনায় থানার ওসি থেকে শুরু করে কমিশনার পর্যন্ত নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে দিপু মণি ভিসি বাণিজ্য করতেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন। 

আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে বেশিরভাগ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছে। সম্পদ বৃদ্ধি গুণ কয়েক’শতে দাঁড়িয়েছে! সম্পদের হিসাব ও জবাবদিহিতা ছিল না বিধায় ইচ্ছেমতো অর্থ লুট করেছেন ও পাচার করেছেন। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগরিটি তথ্যমতে প্রতি বছর গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা। নেতা-মন্ত্রী-এমপি, সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী দেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম তৈরি করেছেন।  

১৫ বছরে মানুষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি বেছে নেয়ার অধিকার পায়নি। ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হাসিনা সরকার লুটে নেয়। হাসিনা সরকারের সময় অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের দুইটি হয়েছে একতরফা নির্বাচন। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে 'রাতের নির্বাচন' বলেও অনেকে বর্ণনা করেন। যদিও বিএনপি বাধ্য হয়ে অংশগ্রহণ করে। জনগণের কোনো রায় তারা নেয়নি।  ফলে জনগণের সমর্থনও ছিল না তাদের পেছনে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে জবরদস্তি করে ভুয়া নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় ছিল।

ব্যাংকিংখাতে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দেশের গণমাধ্যমে গেলো দুই বছরে। রিজার্ভের ঘাটতি ছিল ব্যাপক! গণমাধ্যম কর্মীরা শেষের দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারেনি। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হয়েছে তারল্য সঙ্কট কমাতে। রাতারাতি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে সব কিছুর ওপরে। জিনিসপত্রের দাম রাতারাতি বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠেছে। ফলে তাদের মধ্যে সরকার বিরোধী মনোভাব তৈরি করে।  উন্নয়নের ফিরিস্তি শেখ হাসিনার মন্ত্রীরা প্রচার করলেও খুব বেশি প্রতিফলন সাংসারিক জীবনে দেখছিলেন না সাধারণ মানুষ। তারাও একটি পরিবর্তন চাইছিলেন। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ছিল ফাঁপা উন্নয়ন। কর্মসংস্থান হয়নি দেশে। বেকারত্ব হ্রাস করতে পারেনি। চরম ব্যর্থ ছিল এই খাত। চাকরির বাজার ছিল টাকার হাতে বন্দি। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে সর্বশ্রান্ত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। 

'মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে?' হাসিনার এই কথায় মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা 'তুমি কে, আমি কে- রাজাকার রাজাকার' স্লোগান দিয়ে যখন পথে নেমে আসে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, 'তাদের স্লোগানের জবাব ছাত্রলীগ দেবে'। আন্দোলন নিয়ে কোনো আলোচনার আগ্রহ বা নমনীয়তা দেখায়নি আওয়ামী লীগ। সব আন্দোলনের মতো শক্ত হাতে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে।

প্রথমে নিজেদের ছাত্র বাহিনীকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা, সেখানে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি সদস্যদের দিয়ে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বেপরোয়াভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অ্যাকশন, গুলি চালানোয় পাঁচ সপ্তাহে ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে,  আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি, সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে হয়েছে।

ছয়জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল ও বাড়ি থেকে ধরে এনে কারণ না দেখিয়েই দিনের পর দিন গোয়েন্দা কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে, তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিবৃতি আদায় করা হয়েছে। 

এবার আসি লক্ষ্মণ সেনের ইস্যুতে। বখতিয়ার সেন রাজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে দুর্গম অরণ্যাঞ্চল দিয়ে আক্রমণ চালিয়ে লক্ষ্মণ সেনকে হতবাক করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। হঠাৎ আক্রমণে লক্ষ্মণ সেন ঘটনা সম্পূর্ণ অনুধাবন না করে দূরপ্রান্তে পলায়ন করলেন। এভাবে লক্ষ্মণ সেনের পলায়ন ও অতি সহজে বখতিয়ারের নদীয়া জয় করেন। লক্ষ্মণ সেনের গুপ্তচর বাহিনী মোটেই দক্ষ ছিল না। শত্রুর গতিবিধির খবর রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিংবা তার গুপ্তচর বাহিনী তাকে সঠিক খবর সঠিক সময়ে দিতে পারেনি। শেখ হাসিনার বেলায় এমন না হলেও পলায়ন অধ্যায় একই। এখানে রাজা লক্ষ্মণ সেনের সাথে বেশ মিল ! বল্লাল সেনের উত্তরসূরি লক্ষ্মণ সেন প্রায় ২৮ বছর রাজত্ব করেন। সেনদের পূর্বপুরুষরা কোনো রাজবংশীয় ছিল না। অত্যন্ত চতুরতার সাথে একজন সামন্তরাজ পাল রাজাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাংলার সিংহাসন দখল করে বসেন। এই সামন্ত শাসক হলেন সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সামন্ত সেন। যদিও তিনি কোনো ‘রাজা’ উপাধি গ্রহণ করেননি। লক্ষ্মণ সেনের পতনের ইতিহাস সবচেয়ে বিস্ময়কর। 

যিনি যৌবনে এতো সাহসী ও জয়ী বীর যোদ্ধা ছিলেন, তিনি যে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা না করে পিঠ দেখিয়ে পালিয়ে যাবেন, তা বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন। এখানেও হাসিনার সাথে তাঁর শেষ অধ্যায় মিলে যায়। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, সেন রাজারা ইতিহাসের সবচেয়ে অত্যাচারী রাজা ছিলেন এবং লক্ষ্মণ সেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেনরা গোঁড়া হিন্দু ছিল বিধায় অন্য ধর্মের প্রতি তাদের কোনো সহমর্মিতা ছিল না। কৌলীন্য প্রথার অজুহাতে সেনরা নিম্নবর্ণের হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ওপর এতো বেশি অত্যাচার করেছে যে, অধিকাংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী তখন নেপালে পালিয়ে যায় এবং নিম্নবর্ণের হিন্দুরা অন্য ধর্ম ও সুফি-সাধকদের জীবনাচরণ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া শুরু করে। তারা সবসময়ই সেন রাজাদের পতন কামনা করতো।

লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পর থেকেই সেন বংশ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নামমাত্র রাজ্যশাসন চলছিল। রাজ্যের খুঁটি শক্ত হাতে আর কেউই ধরতে পারে নি। প্রজাবিরোধী শাসন কখনোই বেশি দিন টিকতে পারে না, তাই সেনদের পতন ছিল অনিবার্য। কিছুদিন পর এই নামমাত্র শাসনেরও অবসান ঘটে এবং শুরু হয় মুসলমান শাসকদের রাজত্ব।


লেখক- আবদুল্লাহ আল মেহেদী 


লেখক:- কলামিস্ট 



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ষাট বছর বয়সে নায়াগ্রা জলপ্রপাত পাড়ি দেয়া অ্যানি এডসন টেলর

কেমন ছিল ময়ূর সিংহাসন?

মহামারী প্লেগ, পলিও আর ভয়ানক পীত জ্বরের কথা