কষ্ট ছাড়া মৃত্যুর মেশিন আবিষ্কার !
একটি বোতাম চাপের সাথে সাথে
জীবন শেষ। অধ্যাপক ফিলিপ নিশ বিশ্বের
প্রথম ৩-ডি-প্রিন্টারে কোনো কষ্ট ছাড়াই এই মৃত্যু ঘটানোর মেশিনটি আবিষ্কার করেন ।
নেদারল্যান্ডবাসী অধ্যাপক
ফিলিপ নিশ মৃত্যুর এই মেশিনের নাম রেখেছেন সারকো। সারকো যন্ত্রটি এমনভাবে নকশা করা
হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা একটি বোতাম প্রেস
করার সঙ্গে সঙ্গে আত্নহত্যা করতে পারন ।
বিশ্বে প্রায় আট লক্ষ লোক প্রতি বছর আত্মহত্যা করে এবং প্রায় হাজারের উপরে লোকজন আত্নহত্যার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। আত্নহত্যাকরীদের এই প্রবণতাকে সাহায্য করবে ফিলিপ নিশর এই মৃত্যুর মেশিন ।
সারকোর আকার দেখতে অনেকটা
কফিনের মতো। এর প্রবেশ করতে চাইলে দরকার চার
ডিজিটের একটি কোড। আর এ জন্য ব্যবহারকারীকে
অনলাইনে বুদ্ধিবৃত্তি বিষয়ক প্রশ্নাবলীর সম্মুক্ষীণ হতে হবে । চার ডিজিটের অ্যাকসেস
কোড পাওয়ার পর ব্যবহারকারী সারকোর ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে।
ভিতরে প্রবেশ করার পর মেশিনের
ঢাকনা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর একটা বোতাম চাপ দিলে মেশনের ভিতরে ধীরে ধীরে বেরোতে
থাকবে তরল নাইট্রোজেন । পাশাপাশি মেশনের ভিতরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে ৫%। তার ফলে এক মিনিটের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে
পরবেন । পরের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শেষ মৃত্যুর
কোলে ঢেলে পড়বেন তিনি।
তবে সারকোকে আরও আধুনিক করার
জন্য নেদারল্যান্ড প্রকৌশলী আলেকজান্ডার বননিকে সাথে নিয়ে অধ্যাপক ফিলিপ নিশ কাজ করে যাচ্ছেন ।তাদের লক্ষ্যে পুরো পৃথিবীবাসীদের
কাছে তাদের এই সেবা পৌছে দেওয়া ।
স্বেচ্ছায় মৃত্যু আইনত স্বীকৃত
দেশ একমাত্র সুইজারল্যান্ড। জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুর মেশিন শুধু সুইজারল্যান্ডেই
থাকবে । সেই দেশের বিভিন্ন ক্লিনিকে পাওয়া যাবে যন্ত্রটি। তবে আগামী বছর থেকে সারা পৃথিবী চাইলে তা ক্রয় করতে
পারবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন