পোস্টগুলি

বাংলাদেশের ‘আইসম্যান’ তারা!

ছবি
  প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ । শহরে শীত না পড়লেও গ্রামে শীতের মাত্রা মোটামুটি । সামান্য শীতেই গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার শুরু করেন অনেকে ।   কিন্তু এমনও কিছু মানুষ আছে যাদের   সারা দিন কাটে বরফ ঘেঁটে । খালি হাতে বরফ ঘাঁটলেও ঠান্ডা লাগে না তাদের ! এমনই একজন ৪৮ বছর বয়সী উসমান মিয়া । রাজধানীর এয়ারপোর্ট এলাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্ননেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের থেকে মিনিট পাঁচেক সামনে হাঁটলেই একটি বরফ ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন তিনি । সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতের আগ, টিম টিম লাল ৬০ ওয়াটের কয়েকটি লাইট জ্বলছে । সাইনবোর্ড নেই ফ্যাক্টরির । সবাই চিনে আবু মিয়ার বরফ কল নামেই । টিনের ভাঙ্গা ঘর ।     ভোর থেকে শুরু হয় কাজ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত । দুপুরে অবসর পান খানিকটা সময় । সারা দিন পানি আর বরফ নিয়েই কাটে তার । বরফের অনেক চাহিদা, অবসর নেই ।   শরবতের দোকান, মাছের আড়ত নানান   কাজে লাগে বরফ ।   তবুও কোনো ঠান্ডা জাতীয় অসুখ হয় না তার । বরফ টানা...

১৯ শতকের ঢাকার সেহরি ও ইফতার

ছবি
  সময়টা ১৯ শতকের ও বিশ শতকের শুরুর ঢাকার প্রতিচ্ছবি। শবে বরাতের পরেই রমজানে আগমন বার্তা   ঢাকার ঘরে ঘরে ও মহল্লায় ব্যস্ততা ও সব ধরণের প্রস্তুতির আভ পরিলক্ষিত হতো। মসজিদে মসজিদে চুঙ্কাম ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সাথে অবস্থাপন্নদের বাড়িতে রাজমিস্ত্রি ও মুজুরদের আগমন রমজানের পূর্বাভাস ছিল। গ্রামের গরিব ও গৃহস্থ পরিবারেরা ঘরের মেঝে পরিষ্কার মাটি দিয়ে লেপন করতো। ঝক ঝক তক তক করে তুলতো পীড়া। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ঘরা মাটির নতুন হুক্কা, নৈচা ইত্যাদি এনে সুরভিত করে নেওয়া হতো। তামাকের বিশেষ বন্দোবস্ত করা হতো। তোকমা , ইসুপগুল, খেজুরের গুড়, থাল মিসরি, গোলাপ কেওড়া সাধ্যের মধ্যে যতোটুকু সম্ভব এনে রাখা হতো। চাঁদ রাতে বাজারগুলিতে মানুষের ভিড় লেগে যেতো। চাঁদ রাতেই প্রত্যেক ঘরে বিছানা পত্রের ব্যবস্থা হয়ে যেতো। অতঃপর চাঁদ দেখার প্রস্তুতি। ঢাকার উঁচু ইমারতে ছাদের উপর লোকজন সময়ের অনেক আগে পৌঁছে যেতো। উৎসাহীরা নৌকায় নদীর মাঝখানে নিয়ে চাঁদ দেখতো। প্রথম দেখার প্রতিযোগিতায় , হৈ হুল্লোড় , খুশি বালক- যুবক ক্ষেত্র বিশেষে বৃদ্ধরা তাদের দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষার জন্য জমায়েত হতো। চাঁদ দেখার পর হৈ চৈ এবং একে...

সমাজতন্ত্রের কাল মার্কস তার দর্শনজীবন

ছবি
  প্রু শিয়ার রাইনল্যান্ড প্রদেশের ট্রিভস নামক একটি শহরে কট্টর ইহুদী পরিবারে ১৮১৮ সালে জন্ম নেন এই বিখ্যাত পৃথিবী কাঁপানো মানুষটি। হেইনরিখ ছিলো তার শ্রদ্ধেয় পিতার নাম,মার্কস তার বংশগত ঐতিহ্যের গৌরবন্বিত নাম। হেনরিয়েটা তার মায়ের নাম। প্রিয় মানুষটি ছিলো স্ত্রী,এ্যাণি নামে তাকে ডাকতো কাল মার্কস। পিতার মাতার সাথেই শৈশব কাটে মার্কসের,পিতা ছিলেন একজন আইনজীবি। প্রাথমিক শিক্ষা নেন স্থানীয় গ্রামার স্কুলে। বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৮৪১ সালে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। জন্ম প্রুশিয়ায় হলেও পড়াশুনা হয় জার্মানে। প্রাথমিক জীবনে শিক্ষকতার ইচ্ছে থাকলেও রাজনৈতিক চরমপন্থী মতবাদের জন্য তিনি এ সুযোগ হতে ব্যর্থ হন। ১৮৪২ সালে ‘’রেনিশ জিটাং’’ নামক একটি চরমপন্থী জার্মানীর পত্রিকায় সম্পাদকমন্ডলীর অন্যতম সদস্য হিসাবে যোগদান করেন। ভাগ্য এই মানুষটিকে বেশি দিন ভালো থাকতে দেয়নি। পরের বছর এই গণমাধ্যমটি বন্ধ করে দেয়া হয়। চলমান অবস্থা ও তার চরম মতালম্বীতার দায়ে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়। তিনি প্যারিশে গমণ করেন,সেখানে বন্ধু ও একসহযোগীর সান্যিধ্য লাভ করেন। ১৮৪৪ সালে তার বন্ধু ও একনিষ্ঠ সহযোগী ফ্রেডারিক এঙ্গেলসের সহচর্য লা...

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মোবাইল ফোন কতোখানি?

ছবি
  আশির দশকের দিকে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়ে যায়। মানুষের হাতে হাতে আজ মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন যোগাযোগের পাশাপাশি আরও নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে নানান সুবিধা। বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। মোবাইল ফোনের ব্যবহারে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ভয় থাকে কিনা? কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে মাইক্রোওয়েভ বিকিরণের ফলে ক্যান্সার হয়।   রেডিও তরঙ্গ বিকিরণ কী ক্যান্সারের কারণ হতে পারে? বর্তমানকাল পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকরা বলছেন যে ক্যান্সারের কোন আশঙ্কা নেই। বিকিরণজনিত কারণে ক্যান্সারের ভয় সব সময়ই থাকে। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকশন বিকিরণের সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী কোন সেলফোন থেকে রেডিওতরঙ্গ বিকিরণের মাত্রা সর্বোচ্চ হবে প্রতি কিলোমিটারে মানব টিস্যুর জন্য ১.৬ ওয়াট। সেলফোন সব কোম্পানি এই নির্ধারণ মান মেনে চলছে। সেলফনের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সেলফোন কম্পানিগুলো নিয়মিত গবেষণা করছে। সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানোর জন্য মোবাইল ফোন সরাসরি না ব্যবহার করে ইয়ার ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে রেডিও বিকিরণের হাত থেকে মস্তিস্ক রক্ষা পায়। তবে এতে শরীরের অন্যান্য...

পুরান ঢাকার বাহারি খাবার

ছবি
  ঝুনুর বিরিয়ানি ১৯৮০ সালের দিকে নূর মোহাম্মদ নারিন্দার মোড়ে একটি বিরিয়ানির দোকান খোলেন। আদরের কন্যা ঝুনুর নামেই দোকানটির নাম রাখেন। মুরগি প্রধান এই বিরিয়ানি ভিন্ন স্বাদ হওয়ার কারণে এলাকায় ঝুনুর পোলাও নামে জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৮৮ তে নূর মোহাম্মদ মারা গেলে তার ভাই ইসার উদ্দিন ও পরে তার ছেলে মোঃ স্বপন ও মোঃ শামিম দোকানটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন। বিকাল বেলায় এই দোকানটি খোলা হয় আর রাত নয়টায় অবধি তাদের পোলাও বিক্রি শেষ হয়ে যায়। আগের মানের সাথে টিকে না থাকতে পারলেও সময় বিচারে ঘরটি এখন টিকে আছে। হাজীর বিরিয়ানি হাজীর বিরিয়ানির নাম শুনেনি এমন মানুষ পুরান ঢাকায় খোঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। পুরান ঢাকা এখন যে কয়েকটি কারণে নাম ধরে রেখেছে তার মধ্যে হাজীর বিরিয়ানি অন্যতম। বেশ পুরনো এ ইতিহাস। যুগের পর যুগ সুনাম ধরে রেখেছে এই রসনাময় খাবার।        ১৯৩৯ সালে হাজী গোলাম হোসেন ঢাকার প্রচলিত বিরিয়ানি থেকে একটু ভিন্ন ও বিশেষ পদ্ধতিতে রান্না করেন।   ঢাকাবাসীর জন্য ভোজনে ব্র্যান্ড তৈরি করেন। যা এক কথায় হাজীর বিরিয়ানি নামে পরিচিত। এক কথায় বলতে গেলে হাজীর বিরিয়ানি একটা ইতিহাসের ...

যে কথাগুলো কখনোই বলতে হয় না সহকর্মীদের

ছবি
  স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে আমরা কর্মক্ষেত্রে যোগদান করি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদের সাথে এতটা দিন পার করি তাদের বন্ধু-সহপাঠি বলি। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে দীর্ঘ ৮-৯ঘন্টা পার করি তাদের বলি সহকর্মী। বন্ধু এবং সহকর্মী কথাগুলোর অর্থ যেমন ভিন্ন ঠিক একই ভাবে এদের সাথে আচরণ, কথার ধরনও হবে ভিন্ন। অফিসে আপনি হয়তোবা নতুন বা পুরাতন। সে যাই হোক, একজন সহকর্মীর সাথে যখন প্রথম পরিচয় হবেন তখন অবশ্যই মনে রাখবেন প্রথম অবস্থায় কারো সাথে নেতিবাচক কোন আচরণ করবেন না। অনেককে প্রথম দেখায় ভালো নাও লাগতে পারে বা প্রথম দেখে তার সম্পর্কে যা যা ভাবছেন তা নাও হতে পারে। তাই কোন সহকর্মীর সাথে প্রথম পরিচয়ে এমন কিছু বলবেন নাহ যাতে আপনার কথার উপর নির্ভর করে আপনি কেমন, আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন, অফিস কেমন তা প্রকাশ পায়। নতুন দেখায় এমন কোন ধরণের নেতিবাচক কথা নয় যাতে বিভ্রান্ত ছড়ায়। কোন কোন কথার উপর নির্ভর করে আপনার প্রতি সহকর্মীর নেতিবাচক ধারণা জন্ম নিতে পারে তা জানাটা আবশ্যক। জেনে নিন এবার সেই কথাগুলো: ®   আপনার বেতনটা ঠিক কত এই প্রশ্নটি নতুন সহকর্মীকে জিজ্ঞেস করা মানে পুরোপুরি অশোভনীয়...