পোস্টগুলি

মুদ্রাদোষ

ছবি
  অনেককেই দেখা যায় কারো সাথে পরিচয় হওয়ার সাথে সাথে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন শুরু করে দেয়। যাকে ভদ্রতা না বলে অভদ্রতা বলাই শ্রেয়। প্রথম পরিচয়ে বা কেউ নিজ থেকে না বলতে চাইলে একান্ত কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত যে নয় তা প্রশ্নকর্তা বেমালুম ভুলে গিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন। ঠিক একই ভাবে আমাদের অনেকগুলো খারাপ বা বিরক্তিকর বদঅভ্যাসের মধ্যে মুদ্রাদোষ অন্যতম। মুদ্রাদোষ অনেক রকমের। এই যেমন- কেউ আছে কথা বলার সময় প্রয়োজন ছাড়াই হাত বেশি নাড়ে, শুধু শুধু হাতের নখ কামড়ায়, কেউ কেউ আছে কোনো কাজ করে দেওয়ার জন্য অন্যের গায়ে হাত দিয়ে অনুনয়-বিনয় করে। বসে থাকা অবস্থায় বারবার পা নাড়ে, যেখানে সেখানে নাকের ভেতর আঙুল ঢুকিয়ে চুলকানো, হাতের কাছে লম্বা কিছু পেলেই কানে ঢুকিয়ে খোঁচানো, আঙুল ফোটানো, জোরে জোরে হাত নেড়ে বা আঙুল তুলে কথা বলা। কেউ আছে সবার সামনে দাঁত খোঁচায়, মুখে হাতস চাপা না দিযে হাই তোলে, ঢেকুর তোলে, জোরে জোরে কাশে, হাঁচি দেন, কেউ বা যেখানে সেখানে থুথু-পানের পিক ইত্যাদি ফেলেন। অর্থাৎ যে কাজগুলো একজনের সামনে করলে আরও যারা আছে তারা বিরক্ত হন বা অপছন্দ করেন তাই মূলত মুদ্রাদোষ ...

কষ্ট ছাড়া মৃত্যুর মেশিন আবিষ্কার !

ছবি
  একটি বোতাম চাপের   সাথে সাথে   জীবন শেষ।   অধ্যাপক ফিলিপ নিশ বিশ্বের প্রথম ৩-ডি-প্রিন্টারে কোনো কষ্ট ছাড়াই এই মৃত্যু ঘটানোর মেশিনটি আবিষ্কার করেন । নেদারল্যান্ডবাসী অধ্যাপক ফিলিপ নিশ   মৃত্যুর এই মেশিনের নাম   রেখেছেন সারকো। সারকো যন্ত্রটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে   ব্যবহারকারীরা একটি বোতাম প্রেস করার সঙ্গে সঙ্গে আত্নহত্যা করতে পারন । বিশ্বে প্রায়   আট লক্ষ লোক প্রতি বছর আত্মহত্যা করে এবং প্রায়   হাজারের উপরে লোকজন   আত্নহত্যার করতে গিয়ে   ব্যর্থ হয়। আত্নহত্যাকরীদের   এই প্রবণতাকে সাহায্য করবে    ফিলিপ নিশর   এই মৃত্যুর মেশিন । সারকোর আকার দেখতে অনেকটা কফিনের মতো।   এর প্রবেশ করতে চাইলে দরকার চার ডিজিটের একটি কোড। আর এ জন্য ব্যবহারকারীকে   অনলাইনে বুদ্ধিবৃত্তি বিষয়ক প্রশ্নাবলীর সম্মুক্ষীণ হতে হবে । চার ডিজিটের অ্যাকসেস কোড পাওয়ার পর ব্যবহারকারী সারকোর ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে। ভিতরে প্রবেশ করার পর মেশিনের ঢাকনা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর একটা বোতাম চাপ দিলে মেশনের ভিতরে ধীরে ধীরে বেরোতে থাক...

মহাবিশ্ব থেকে গ্রহরা হারিয়ে যায় যেভাবে

ছবি
  বিজ্ঞানীরা দাবী     করছেন , পৃথিবী কিংবা মঙ্গলের মত গ্রহকে গ্রাস করতে পারে   সূর্যের মত নক্ষত্র ।   যদিও এই   ধারনা অনেক দিনের ; তবে তার কোণ প্রমান বিজ্ঞানীদের হাতে ছিলনা ।   সম্প্রতি একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে নাসার     কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ ‘ কে২ মিশন ’  আর তাতেই নাকি রহস্য উন্মচন। নাসার পাঠানোর এক বিবৃতিতে হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের গবেষক অ্যান্ড্রু ভ্যান্ডারবার্গ বলেন , ‘ প্রথমবারের মতো আমরা প্রচণ্ড মাধ্যাকর্ষণের চাপে ক্ষুদ্র একটি গ্রহকে চূর্ণ হতে এবং এর রশ্মিতে গ্রহের সবকিছু বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে দেখি । এছাড়াও নক্ষত্রের দিকে পাথুরে উপাদান ধেয়ে আসতে দেখেছে বলেও দাবি এই গবেষকের ।     যুক্তরাষ্ট্রের “নেচার “ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য।     যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা বলছেন , বড় একটি সাদা বামন নক্ষত্রের প্রভাবে ক্ষুদ্র পাথুরে একটি গ্রহ   বাষ্প হয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় তার শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা। তত্ত্ব মতে , সাদা বামন...

ডেগ বা ডেকচিতে লালসালুর ব্যবহার কেন?

ছবি
 পুরান ঢাকা খাবারের জন্য এখনো বিখ্যাত, মোঘল আমল থেকে এ ধারাবাহিকতা চলে আসছে সুনাম ধরে রেখেছে যুগের পর যুগ। নানান পদের শাহী খাবারের প্রচলন ঘটে এই দেশে তাদের শাসন আমল হতেই। পুরান ঢাকার  বিরিয়ানী তো স্বাদে অনন্য।   কখনো কী ভেবে দেখেছেন কেন বিরিয়ানী হাড়িতে লাল কাপড় ব্যবহার করা হয়? শুধু ঢাকায় নয় দেশের প্রায় সকল এলাকায় বিরিয়ানী ও হালিমের ডেগ বা ডেকচিতে লালসালু ব্যবহার আধিক্য দেখা যায়। কিন্তু কেন?  সমাজ ও মানুষের জীবনে রং ভিন্নতা প্রভাকর হিসেবে কাজ করে। রং এর এই ভিন্নতা ও অর্থ নানান দেশ  ও জাতীতে ব্যবহার হয়।   তেমনি ইসলাম ধর্মে সবুজ ও সাদা রঙের ব্যবহার দেখা যায়। যার অর্থ শান্তি, স্বচ্ছন্দতা, শুদ্ধতার প্রতীক। লাল রঙ ভিন্ন দেশে উদ্দীপন অর্থে ব্যবহার হলেও এশিয়ায় কিছু লোকের কাছে লাল রঙ সৌভাগ্য , উষ্ণতা, আনন্দ- উৎসব, ভালোবাসার আবেগের রং হিসেবে বিবেচিত হয়।  ইসলামিক জাগরণের পরবর্তী সুফিবাদের প্রচলনে পারস্য ও মুসলিম বিশ্বে লাল রং কে  প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয়। সুফিবাদে আল্লাহকে হৃদয় উৎসর্গ করে ভালোবাসা, উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে হৃদয়ের লাল রঙ সমর্...

আসল-নকল প্রসাধনী চেনার সহজ উপায়

ছবি
বিয়ের কথাবার্তা চলছে, এমন অবস্থায় ব্রণ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা তরুণী সাইমা শারমিন সুমনা।   এ সময় ব্রণ দূর করতে সুমনাকে বেটনোভেট ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন তার এক বান্ধবী। কিন্তু ক্রিমটি কয়েকদিন ব্যবহারের পর ব্রণ উঠা বন্ধ হওয়া তো দূরে থাক, মুখে থাকা আগের ব্রণের দাগগুলো আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল সুমনার। এরপরই ওই বান্ধবীর কাছে যান সুমনা। নিজের কেনা ক্রিমটির টিউবের সঙ্গে বান্ধবীর ক্রিমটি মিলিয়ে দেখেন   তিনি। দুজনারই টিউবে থাকা লোগোর স্থানসহ কয়েকটি বিষয়ে পার্থক্য চোখে পড়ে সুমনার। এরপরই নিশ্চিত হন নকল বেটনোভেট ক্রিম কিনেছেন তিনি। আর সেটি ব্যবহার করেই হীতে বিপরীত হয়েছে সুমনার। শুধু সুমনা নন, তার মতো অনেক নারীই এই প্রতারণার শিকার। অথচ কয়েকটি বিষয় জানা থাকলেই প্রসাধনী কিনে এমন ভাবে প্রতারিত হতে হবে না আপনাকে। জেনে নিন সেই বিষয়গুলো: প্যাকেজিং: পণ্যের প্যাকেট, টিউব, লগোর অবস্থান সব কিছুর খেয়াল করুন। নকল পণ্যে কিছু না কিছু বৈসাদৃশ্য আপনি পাবেনই। হয়ত আপনি ইউনিলিভার ব্র্যান্ডের কোনো পণ্য কিনবেন। প্রথমে দেখুন একই ধরণের পণ্যে লোগোটি ঠিক একই ...

কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বৈষম্যের নানা রুপ।

ছবি
  ছবি: ইকোনমিস্ট পত্রিকা থেকে সংগৃহীত। অফিসে ও কর্মজীবনে নারীরা প্রতিনিয়ত অসমতার মুখোমুখি হচ্ছে। লন্ডনের বিখ্যাত সাপ্তাহিক সাময়িকী, দ্য ইকনোমিস্ট এর অক্টোবর সংখ্যায় এই বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। লেখাটির সারাংশ এখানে তুলে ধরা হলো, ব্রিটিশ চাকুরিজীবী মেগান লন্ডনের একটি বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। অর্থনীতি ও হিসাব বিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রিধারী এই নারী ভালো ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু সবকিছু তার মতো করে হলো না। মেয়ের জন্ম হবার পর, একই সাথে চাকরি ও মেয়েকে সামলানো তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। অফিস সিডিউল বদলানো ও কিছু কাজে বস তাকে সাহায্য না করায় মেগানকে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়। এর কিছু বছর পর স্বামীর সাথে ও ডিভোর্স হয় মেগানের। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে একা দায়িত্ব পালন ও ছোট আয়ের চাকরি সঙ্গতিপূর্ণ না হলেও তখন তার কিছুই করার ছিল না। এখানে ঘটে যাওয়া পুরো এ বিষয়টি ভাবা যায় মাতৃত্বের শাস্তি হিসেবে! আমাদের কর্পোরেট অফিসগুলোতে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে দেখা হয় কর্মঘন্টা, কাজের মান ও নেতৃত্ব দেয়াকে। অপরদিকে গৃহস্থলির কাজ, সন্তানপালন ও সবাইকে দেখাশোনার মত সময়ক্ষেপণ ক...

ইতিহাসের ধ্বংসাত্মক ৫ টি যুদ্ধ

ছবি
  ছবি: Garrison's heroic defence. Artist V. Pamfilov অ্যাডলফ হিটলার বলতেন, যুদ্ধই জীবন, যুদ্ধই সর্বজনীন। ইতিহাসের এমন কোন অধ্যায় নেই যেখানে রণ ক্ষেত্রের ডামাডোল বাঁজেনি। পৃথিবীর শুরু থেকেই মানুষ সমর সংগ্রামে জড়িয়েছে। ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিস্বার্থের বলি হয়ে মরেছে বহু। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনায় দশটি যুদ্ধের বর্ণনা দেয়া হলো:- ১. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War II) ১৯৩৯ খ্রি. - ১৯৪৫ খ্রি. ছবি : সংগৃহীত। US 2nd Infantry Division Guard with German Prisoners (POW) near Schoneseiffen 1945 Germany দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে বিবেচনা করা হয় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় হিসেবে। হলোকাস্ট, দুর্ভিক্ষ ও মহামারির কারণে আনুমানিক ৭ কোটি লোক এ যুদ্ধে প্রাণ হারায়। ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত হয়।  দুইটি বৃহৎ সামরিক জোট অক্ষশক্তি (জার্মানী, ইতালি, জাপান) ও মিত্রশক্তির (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন ও অন্যান্য) ১০ কোটি সামরিক সদস্য সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। অ্যাডলফ হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খল নায়ক হিসেবে বিব...